ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিঃ ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি বলতে ফল গাছে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা বয়সে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দ্বারা ফলকে আবৃত করাকে বুঝায়। ব্যাগিং করার পর থেকে ফল সংগ্রহ করা পর্যন্ত ব্যাগটি গাছেই ফলের সাথে লাগানো থাকে। তবে এই ব্যাগ বিভিন্ন ফলের জন্য বিভিন্ন রং এবং আকারের হয়ে থাকে। আমের জন্য দুই ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। রঙিন আমের জন্য সাদা ব্যাগ আর অন্যান্য জাতের জন্য বাদামি রং এর ব্যাগ ব্যবহার করা হয়
:ব্যাগিং প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা সমূহঃ
১.আমের মাছি পোকার আক্রমণ ১০০% দমন হয় এবং সঠিক সময়ে ব্যাগিং করলে ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনও সম্ভব।
২.আমের গায়ে কালো দাগ পড়ে না।
৩.ব্যাগিং করার কারণে বালাইনাশকের ব্যবহার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ কমে যায়।
৪.আম পাড়ার সময় নির্গত কষ থেকে ফলকে রক্ষা করে।
৫.আমকে বাইরের বিভিন্ন ধরনের আঘাত, ফল ফেটে যাওয়া, কাঠবিড়ালী, বাদুর, পাখির আক্রমণ, প্রখর সূর্যালোক হতে রক্ষা করা যায়।
[4/10, 12:29 PM] A Vaiya. 014: আম ব্যাগিং করার উপযুক্ত সময় ও পদ্ধতিঃ
আমের প্রাকৃতিক ঝরা বন্ধ হলে এবং ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ার পূর্বেই ব্যাগিং করতে হবে।সকল জাতের আমের জন্য ব্যাগিং করার সময় এক নয়। যেমন বারি আম-১, বারি আম-২, বারি আম-৬, বারি আম-৭, খিরসাপাত এবং ল্যাংড়া জাতের আমে ব্যাগিং করা হয় ৪০-৪৫ দিন বয়সের গুটিতে। আমের অন্যান্য জাতগুলি যেমন বারি আম-৩, বারি আম-৪, বারি আম-৮, ফজলি ও আশ্বিনা জাতে ব্যাগিং করা হয় গুটির বয়স ৬০-৬৫ দিন হলে।
[4/10, 12:29 PM] A Vaiya. 014: ফুড ব্যাগিং করার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় দিক সমূহঃ
১.নির্দিষ্ট বয়সের এবং আকারের দাগমুক্ত আমে ব্যাগিং করতে হবে।
২.ব্যাগিং করার পূর্বে শুধু আমকে একটি কীটনাশক ও একটি ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে
৩. ব্যাগিং করার কমপক্ষে তিন ঘন্টা পূর্বে স্প্রে করতে হবে। তবে স্প্রে করার পরের দিনও ব্যাগগিন করা যাবে যদি বৃষ্টিপাত না হয়। ফল ভেজা অবস্থায় ব্যাগিং করা উচিত নয় অর্থাৎ রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে ব্যাগিং করা ভালো
৪. দুইটি আম একত্রে থাকলে একসাথে ব্যাগিং করা যাবে তবে বড় জাতের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যাগিং করতে হবে।
Leave a Reply